কালেরকন্ঠ : পবিত্র মক্কা ও মদিনার নিরাপত্তা যদি কখনও হুমকির মুখে পড়ে তাহলে বাংলাদেশ প্রয়োজনে সেনা পাঠাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার, ১৮ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে একথা জানান তিনি।
আরব ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ২০ মে সৌদি আরব যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফর সম্পর্কে জানাতে ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ প্রধানমন্ত্রীকে এ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২১ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এতে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলাল্ড ট্রাম্পও। সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাইড লাইনে ট্রাম্প, সৌদি বাদশাহসহ অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের বিদেশ ভ্রমণে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিদেশ যাওয়া সব নাগরিককে নজরদারি করা সরকারের দায়িত্ব।
৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়ে সৌদি আরব সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা থেকে তারা সরে আসেনি বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জোটভুক্ত ৪১ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি।
সূত্র জানায়, প্রায় ২০ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে সৌদির আরবের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন’।
সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন করবেন। ঢাকায় ফিরবেন ২৩ মে।
সৌদি আরব ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মুসলিম দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি সামরিক জোট ঘোষণা করে।
জোটের সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও জর্ডান, আলজেরিয়া, নাইজার, ইয়েমেন, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরাক, তিউনিশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা যোগ দেবেন বলে আশা করছে দেশটি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।